পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ॥ ছাত্র নামের কলঙ্ক হয়ে সমুদয়কাঠীর কুহুদাসকাঠী এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে সর্বত্র। ধর্মীয় নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে হিন্দু পরিবারের সন্তান হওয়া সত্বেও একই এলাকার মুসলিম পরিবারের স্কুল পড়ুয়া বালিকার সাথে অনৈতিক কাজ কর্ম করে চরম বিতর্কিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিন সাদকের সন্তান পলাশ সাদকের (২৪) বিরুদ্ধে। স্থানীয় সুত্র জানায় গত ১২ জানুয়ারি পলাশ সাদকের সাথে বেআইনী ভাবে শারীরিক সম্পর্কের ঘটনা মুহুর্তের মধ্যে কুহুদাসকাঠী এলাকায় মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। হিন্দু পরিবারের সন্তান হয়েও মুসলিম পরিবারের মেয়ের ( ছদ্দ নাম রশনি-১৪)সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করে আসছিল পলাশ সাদক। সুকৌশলী রোমিও প্রেমিক কুমারী বালিকার শরীরের স্বাধ নিতে দারুণ ব্যাকুল ছিল বলে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন জানান। অর্থের দাপটে প্রেমের ফাঁদ পেতে দিনের পর দিন মুসলিম বালিকার সাথে বেআইনি ভাবে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছিল সমাজের আইন কানুনকে উপেক্ষা করে। এদিকে হিন্দু পরিবারের বেশ কিছু লোকজন নাম না প্রকাশের শর্তে জেলার গণ মাধ্যম কর্মী দের জানান, ঘটনার সত্যতা শতভাগ রয়েছে বিদায় ঘটনার পর পরই লম্পট খ্যাত ছেলে গাঢাকা দেয় বেশ কিছুদিন ধরে। তবে স্থানীয় লোকজনের চাপে ছেলের বাবা তার ছেলের উপযুক্ত বিচার করার আশ্বাস দেন। অথচ একমাসের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও আজও বিচার করেনি। অথচ লম্পট ছেলে বীরদর্পে নিঃলজ্জ ভাবে প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করছে।এ ব্যাপারে সমুদয়কাঠীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ সাধারণ সম্পাদকও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এলাকার লোকজনের কথা অনুযায়ী। এলাকার বেশির ভাগ লোকজন গণ মাধ্যম কর্মীদের আরও বলেন, প্রেম ছাড়া জীবন চলে না, তাই বলে প্রেমের ফাঁদ পেতে ইসলাম ধর্মের মেয়ের সাথে বেআইনি সম্পর্ক চরম অন্যায়। হত দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে নিয়ে এহেনও কাজকর্ম করা চরম অন্যায় বলে এলাকার সাবেক মেম্বার বলেন। তবে এলাকার চেয়ারম্যান ঘটনার কথা এলাকার লোকজনের মুখ থেকে শুনেছে বলে জানান। তবে মেয়ে পরিবার বিচার চাইলে স্থানীয় গ্রাম্য আদালতে বিচার করার আশ্বাস দেন।এদিকে স্থানীয় ও জেলার গণ মাধ্যম কর্মীরা ঘটনার পর পরই মেয়ের বাড়ীতে যান। কিন্তু সাংবাদিকদের আনাগোনা টের পেয়ে মেয়ে পরিবার মানষিক লজ্জায় ঘরে তালা লাগিয়ে ছিটকে পড়েন। তবে ছেলে পরিবারের সদস্যরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার না করলেও মেয়ে ঘটনার রাতে ছেলের বাড়ির পাশের ঘরে ছিল। এদিকে এলাকার বর্তমান জনপ্রতিনিধি আগামীর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কৌশলে অনেক কিছু এড়িয়ে যায়।অবশ্য এলাকার সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থীরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে গণ মাধ্যম কর্মীরা সাদক বাড়ীর আইনজীবী প্রিয়তোষ সাদকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন মুঠোফোনে। তিনি অকপটে স্বীকারও করেন ঘটনা ঘটতে পারে কিন্তু আমি ঢাকায় আছি বিদায় বিস্তারিত তেমন কিছু বলতে পারবো না। সর্বশেষ তথ্য মতে এলাকার বেশির ভাগ লোকজন মিডিয়াকে বলেন, ধর্মের স্বার্থে এজাতীয় অনৈতিক কাজের সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ বিচারের দাবি সর্ব মহলের। সঠিক বিচার না হলে এলাকার বিতর্কিত পলাশ সাদকের মত বদ চরিত্রের লোকজন স্থানীয় গ্রাম্য আইনের প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেলবে।
Leave a Reply